যশোরের অভয়নগর উপজেলায় ছাগল ফ্রি থাকলেও সঠিক দাম না ওঠায় এবারের কোরবানি ঈদেও বিক্রি হল না প্রায় ৩০ মণ ওজনের ‘বাংলার টাইগার’।
পরপর চারদিনের নওয়াপাড়ার গরুর হাটে ‘বাংলার টাইগার’কে সাজিয়ে-গুঁজিয়ে ওঠানো হলেও ন্যায্য দাম না হওয়ায় তা ফিরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান খামার মালিক। ১০ লাখ টাকা মূল্যের এ গরুটির দাম উঠেছে মাত্র ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা হলেও তা বিক্রি করা হতো বলেও তিনি দাবি করেন খামার মালিক। ঈদের দিন বুধবার ঈদের নামাজ শেষে উপজেলার সরখোলা-ডুমুরতলা এলাকায় অবস্থিত দারুল আসাদ খামারের মালিক আসাদুর রহমান আসাদ যুগান্তরকে জানান, গত কুরবানি ঈদেও ‘বাংলার টাইগার’কে বিক্রির জন্য হাটে ওঠানো হলেও সঠিক মূল্য না হওয়ায় তা বিক্রি করা হয়নি। এ বছরও বিক্রি হল না গরুটি।
তিনি আরও জানান, গত সাড়ে চারবছর ধরে খামারে ‘বাংলার টাইগার’কে অতি যত্নে লালন-পালন করছেন তিনি। এ গরুটির ওজন প্রায় ৩০মণ। তার দাঁতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়টিতে। তার খামারের সবচেয়ে বড় গরু হলো ‘বাংলার টাইগার’। মহামারি করোনার মধ্যে এ বছরের কোরবানি ঈদে ‘বাংলার টাইগারকে’ বিক্রির জন্য ছাগল ফ্রি দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। উপজেলার বাগদাহ গ্রামের বাসিন্দা, নওয়াপাড়া গরুহাটের ইজারাদার মো. আতিয়ার রহমান জানান, মহামারী করোনায় এবারের কোরবানির ঈদে গরুর বাজার মন্দা থাকায় দারুল আসাদ খামারবাড়ির ‘বাংলার টাইগারটি’ বিক্রি হল না।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।